প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক পিএলসি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ১১ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ০৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ টাকা ২৩ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৩৭ পয়সা (ঘাটতি)।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১০ টাকা ৩২ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আয়োজন করেছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ জুন।

এর আগের বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৬ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮৮ পয়সা। আর ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা।

 আর ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৫৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। রূপালী ব্যাংকের মোট ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫১ হাজার ১৭৭টি শেয়ার মোট ১৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০