প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৪৮ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ২৮ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ২৩ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৫ পয়সা।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৫ টাকা ১৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ২ টাকা ১৯ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহŸান জানিয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ জুলাই।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। আর ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়, যা তার আগের বছরে ছিল ১০ শতাংশ বোনাস। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৪৪ পয়সা ও ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৫ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭ টাকা। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৯টি শেয়ার মোট ১২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৭ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৪৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৩টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০