প্রধমার্ধে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৩ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ টাকা ৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৫৪ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৬ পয়সা (ঘাটতি)।

সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০৯ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন দুই হাজার ৮০০টি শেয়ার মোট ৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০