শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে চাপ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র এমন খবর একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। খবরটি সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস অবহিত রয়েছে। তারা বলছে, এমন কোনো কথা তারা বলেনি। সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়নি।
গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়। কোনো দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব নেই।’
এর আগে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার। দুই দিনের সফরে তিনি ঢাকা এসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আফরিন আখতার বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কথিত নির্বাচন নয়, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা মনে করি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কেবল ভোটের দিনের বিষয় নয়। বরং এর মানে হচ্ছে, ভোটের আগের এই মাসগুলোয় নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন পক্ষ যাতে অবাধে গণতান্ত্রিক চর্চায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বলে আসছে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এনইনিউজডটইন মার্কিন চাপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি দেশের ভেতর থেকে দেখার সুযোগ নেই। ইউআরএল অনুসারে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওয়াশিংটন আল্টিমেটাম দিয়েছে। ৩ নভেম্বরের মধ্যে সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।’