নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ‘হামলার ব্যর্থ চেষ্টার’ যে খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে এসেছে, তাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানানো হয়েছে সরকারি তরফ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে রোববার।
পিএমও থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর গত ২৪ আগস্টের হামলার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে আরও বলা হয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি বিদেশি টিভি চ্যানেল ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনলাইন পত্রিকায় সূত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর ওপর প্রাণনাশী হামলার ব্যর্থ চেষ্টার খবর প্রকাশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর ২৪ আগস্ট ব্যর্থ হামলার কথা উল্লেখ করে একটি বিশেষ বাহিনীর কতিপয় সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করে বাংলাদেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রচারসহ টক-শো অনুষ্ঠিত হয়।
এ ধরনের সংবাদকে দেশের নিরাপত্তার ‘সার্বিক স্বার্থ পরিপন্থি’ বলে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরূপ বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা যে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সচেতন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে মোটেও কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তার প্রেস সচিবের পক্ষে উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এই বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি আসার আগে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই খবরের সত্যতা নেই। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বান্দরবানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশি-বিদেশি একটি মতলবি মহল তাকে হত্যার চক্রান্ত করছে।’
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার সপ্তাহ আগে ২৪ আগস্ট ইন্দিরা গান্ধীর মতো দেহরক্ষীদের দ্বারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল; ওই পরিকল্পনায় জেএমবি জঙ্গিদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে ধারাবাহিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর চক্রান্তও হয়েছিল। ‘বাংলাদেশ ও ভারতের’ জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা তা ভেস্তে দেন।
তথ্যমতে, ২৪ আগস্ট শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানেও ছিলেন তিনি। একই দিন তিনি গুলশানে রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদে যোগ দিয়েছিলেন।