৬০ বছর পেরোনো জনগোষ্ঠীকে প্রবীণ বলা হয়। এই বয়স থেকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। তাই সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান ছাড়তে হবে। সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে হবে। অনেক পুষ্টিকর খাবার যেমন শক্ত ফল (পেয়ারা, আপেল), মাংস, অর্থাৎ শক্ত ও আঁশজাতীয় খাবার খেতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকে তা এড়িয়ে চলেন। তবে এতে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে। যতটা সম্ভব সচল ও কর্মক্ষম থাকতে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন, বই পড়ুন, গান শুনুন। পছন্দের কাজ করুন, প্রার্থনায় অংশ নিন। বিশ্রাম নিন। রাতে ৮টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া খুবই জরুরি। ছয় মাসে একবার হলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।
প্রবীণদের পুষ্টি: প্রবীণদের উপযোগী সারা দিনের জন্য একটি খাদ্যতালিকার ধারণা দেয়া হলো। (উচ্চতা, ওজন, কাজের ধরন ও কোনো রোগ আছে কি না, তা দেখে এ তালিকা করতে হয়।) সকাল ৮টাÑসিদ্ধ আটার রুটি তিনটা, একটা সিদ্ধ ডিম। যেকোনো সবজি (যদি কিডনির সমস্যা না থাকে)। যদি কেউ রুটি খেতে না পারেন, তবে ওটস খেতে পারেন। বেলা ১১টাÑচারটা বিস্কুট/মুড়ি ৩০ গ্রাম অথবা একটা রুটি এবং একটা যেকোনো ফল। দুপুরেÑ৯০ গ্রাম চালের ভাত, ৭০-৮০ গ্রাম মাছ/মাংস, এক কাপ ডাল, শাকসবজি (ইচ্ছামতো)। বিকালে দুধ ১২৫ মিলিলিটার/দই এক কাপ অথবা বাদাম ৩০ গ্রাম/পনির। রাতেÑ৬০ গ্রাম চালের ভাত, ৬০-৭০ গ্রাম মাছ/মাংস, এক কাপ ডাল ও শাকসবজি। যারা তরল, আধা তরল বা নরম খাবারে অভ্যস্ত, তাদের ক্ষেত্রে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে চিকেন স্যুপ, খিচুড়ি, সঙ্গে বেছে নেওয়া মাছ, ডিমের সাদা অংশ মেশানো নাশতা, দুধ বা দই রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। প্রবীণদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বা হার্টের সমস্যা থাকাটা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকা করতে একজন পুষ্টিবিদের সাহায্য নেয়া ভালো।
হাসিনা আকতার
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ও কনসালট্যান্ট
ল্যাবএইড লিমিটেড, চট্টগ্রাম