Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:44 pm

প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষণবাদনীতির কারণে সৃষ্ট বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটি গতকাল বুধবার চলতি বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। খবর সিনহুয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে দেশটির দুই দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস আগে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল প্রবৃদ্ধি হবে তিন শতাংশ। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব কোরিয়া’ এ পূর্বাভাস দিয়েছিল। গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল তিন দশমিক এক শতাংশ।
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষণবাদনীতিকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের পাল্টা হিসেবে অন্য দেশগুলোও শুল্কারোপ করবে। এতে তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যে পড়বে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি প্রধানত রফতানির ওপর নির্ভরশীল। বাণিজ্য বিবাদের কারণে দেশটির রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে বছরের দ্বিতীয়ার্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যেখানে গত বছর রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৫ দশমিক আট শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছর আমদানি প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক দুই শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। যেখানে ছয় মাস আগে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ছয় শতাংশ বৃদ্ধির।
এছাড়া ভোক্তা মূল্যস্ফীতি এক দশমিক ছয় শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। আগে পূর্বাভাসে প্রাক্কলন ছিল এক দশমিক সাত শতাংশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও মন্ত্রণালয় মনে করছে তেলের উচ্চ দাম বছরের দ্বিতীয়ার্ধের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি ভোক্তা খরচও কমাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধির আরেকটি প্রধান উৎস হচ্ছে বেসরকারি খরচ। চলতি বছর এটি প্রাক্কলন করা হয়েছে দুই দশমিক সাত শতাংশ। ছয় মাসে প্রাক্কলন করা হয়েছিল দুই দশমিক আট শতাংশ।