নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) প্রকাশ করেছে বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তার ঋণমান পাওয়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তা স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করে।
জানা গেছে, বিমা খাতের কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। আর এ রেটিং দিয়েছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২২ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০৪ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ৮৯ পয়সা। এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এনএভিপিএস ছিল ২২ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১২৫ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ২৩৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৮ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৯৮ হাজার ৬০৩টি শেয়ার মোট ১৫৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ৫৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৫৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।