প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে মধ্যরাতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ

প্রতিনিধি, বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টায় রোকেয়া হলের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন ওই হলের কিছু শিক্ষার্থী। এতে ময়মনসিংহের ব্রীজ মোড় থেকে সুতিয়াখালি অভিমুখী যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিনাশর্তে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্টসহ হল প্রশাসনের পদত্যাগ এবং এখতেয়ার বর্হিভূতভাবে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে সবার সামনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়ায় প্রভোস্টের যথাযোগ্য শাস্তির দাবী করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও সিটের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করা হয়েছিল। সেখানে আন্দোলনের মীমাংসাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো লেভেল-৩ এর শিক্ষার্থীদের আগে সিট দেওয়া হবে এরপর লেভেল-২ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। কিন্তু এখন আমাদের লেভেল-৩ এর শিক্ষার্থীদেরকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে লেভেল-২ এর ২০ জনকে সিট দেওয়া হয়েছে।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,পূজার বন্ধের আগে প্রভোস্ট স্যার নিজে আমাকে পুরাতন বিল্ডিংয়ের গ ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমে সিট বরাদ্দ দেয়। ছুটি শেষ ৮ অক্টোবর আমি রুমে উঠি। কিন্ত আজকে হঠাৎ করে আমার রুমে প্রভোস্ট স্যারের নির্দেশে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা বলতে গেলে প্রভোস্ট স্যার সিট দেওয়ার ব্যাপারটা অস্বীকার করেন এবং আমার উপর অভিযোগ করেন যে আমি তালা ভেঙ্গে রুমে উঠেছি।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের আরেকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে, আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় ইখতেয়ার বহির্ভুতভাবে হল প্রভোস্ট মো. রফিকুল ইসলাম তাকে সবার সামনে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। তার এই অভিযোগর যথাযোগ্য প্রমাণও আছে তার কাছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরোও অভিযোগ করে বলেন, হলের মূল ভবনের এক রাজনৈতিক নেত্রী নিজে এক শিক্ষার্থীকে বলেছেন যে বর্তমান হল প্রভোস্ট তার কথায় সিট দেন। যে শিক্ষার্থীকে তিনি এ কথা বলেছেন পরবর্তীতে তার সিটের ব্যবস্থাও করেছেন ওই নেত্রী। ওই নেত্রী আরোও বলেছেন যে পুরাতন বিল্ডিংয়ের কাউকে নতুন বিল্ডিং এ সিট দিতে তারা চান না। এ সকল অভিযোগের যথাযোগ্য প্রমাণও আছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি এবং ড. শফিকুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে রবিবার ১২ টার মধ্যে প্রভোস্ট পদত্যাগ করবে শর্তে শুক্রবার রাত ১ টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে হলে ফিরে যায়।

এ বিষয়ে ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু বলার নেই।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের হলে ফিরিয়েছি। তাদের অভিযোগ শুনেছি। সার্বিকভাবে সকল বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০