নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় ছিলেন সহকর্মী। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতেন। সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতেন।তাদের প্রত্যেকের পরিবারেই ঈদ মানে ছিলো অনাবিল আনন্দ, ঈদ মানে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। কিন্তু গত বছরেও পরিবারসহ যাদের ঈদ অনাবিল আনন্দে কেটেছে এবছর কিছুটা তার উল্টোচিত্র! যাদের পরিবারের প্রধান এবং উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি পৃথিবীতে নাই তাদের জন্য এই ঈদ কি করে আনন্দের হতে পারে! পরিবারগুলোতে সবার জন্য ঈদের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরার মানুষটিইতো নেই!ঈদ আনন্দের বিপরীতে যাদের ঘরে স্বজন হারানোর দুঃখ সহকর্মী হিসেবে তাদের সেই দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার ভাবনা থেকেই বরাবরের মতো “প্রয়াত সহকর্মীদের পরিবারের জন্য ঈদ উপহার” পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা রাজস্ব কমকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রিজউয়ান রশিদ রিপনের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদ উপহার পাঠানো হয়েছে।
কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বিকল অবস্থায় নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছিলেন নিভৃতচারী মানুষটি।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রিজউয়ান রশিদ রিপন। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত এ দুই সহকর্মীর বাড়িই টাঙ্গাইলে।
বাকাএভ এর পক্ষ থেকে সাধ্যানুযায়ী প্রয়াত সহকর্মীর পরিবারের পাশের থাকার এমন উদ্যোগ নেয়া “বাকাএভ” কার্যকরী মহাসচিব মোঃ মজিবুর রহমান বলেন এই পরিবারগুলোতে আগের মতো ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ কখনই ফিরিয়ে আনা যাবে না তবু্ও কিছুটা দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়ে, কিছু কষ্ট লাঘব করার উদ্দেশ্যেই মরহুম সহকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ‘বাকাএভ’ এর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পাঠানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
