শেয়ার বিজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরবাসীকে আজ থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কর্মসূূচি পালনে নিজের সুরক্ষার স্বার্থে শতভাগ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে কভিড-১৯ নিয়ে ভীতি কেটে গেছে। তবে এ প্রবণতা ভালো নয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও নগরবাসীকে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতায় লিফলেট বিলির পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। প্রয়োজনে আরও আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে চসিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম কমিটির তৃতীয় সভায় এ কথা বলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে চসিক কর্তৃপক্ষ।
করপোরেশেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, শাহেদ ইকবাল বাবু, সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এএসএম জামশেদুল খন্দকার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজীব পালিত প্রমুখ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের এবার যে কোনো উপায়ে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। না হয় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জনের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন। সংক্রমণের হার ২৯ শতাংশ। কাজেই অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধ করা ও মাস্ক পরিধানের বিকল্প নাই।
করপোরেশন স্থাপিত আইসোলেশান সেন্টার ভালো ভূমিকা রাখেছে বলে উল্লেখ করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শাহরিয়ার নগরবাসীকে সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখনও পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংগ্রহ রয়েছে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো সরকারি নির্দেশনা পালন ও বাস্তবায়ন করা। তবে করপোরেশনকে নগরবাসীর স্বার্থে জরুরি সেবা চালু রাখতে হবে, যেমন নগরের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম।
করপোরেশেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সাবেক মেয়র মনজুর আলম তার প্রতিষ্ঠান আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে নগরীর গুরুতর কভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিনা খরচে করপোরশেনের স্বাস্থ্য বিভাগকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে চায় বলে জানান।
সভাপতির বক্তব্য মেয়র বলেন, টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে আবারও তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন এটা আমার প্রত্যাশা।
মেয়র কভিডকালে নগরবাসীর চিকিৎসা সহায়তায় একটি হটলাইন নম্বর (৬৩৪৫৮৪) চালু রয়েছে বলে জানান। হটলাইন নম্বর হলো (৬৩৪৫৮৪)। তিনি নগরীর কভিড রোগীদের প্রয়োজনে করপোরেশনের চালু থাকা লালদিঘি পাড়ে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া যাবে উল্লেখ করেন। এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফসহ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, রোগীদের বিনা খরচে খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে। কাজেই নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে নিজ ও অপরের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলার আহ্বান জানান মেয়র।