Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:22 pm

‘প্রযুক্তিগত ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব’

ইসরাত জাহান রেইনী কাজ করছেন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে। প্রতিষ্ঠা করেছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আইসিটি প্রটেকশন হাউজ। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ictprotection.com। বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী, বিশেষ করে নারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার লক্ষ্য। এজন্য কাজ করছেন নিরলস। এক আলাপচারিতায় আইসিটি ও তার বর্তমান ভাবনা সম্পর্কে জানাচ্ছেন হাসান সাইদুল

 

আইসিটিতে কেন এলেন?

ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবো, কিন্তু হয়ে গেলাম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। আইসিটি সেক্টরে আসার প্রধান কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রযুক্তিগত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়। চেষ্টা করলে এ ধরনের ক্রাইম প্রতিরোধ করা যায়। মূলত মানুষকে সাইবার ক্রাইম থেকে নিরাপত্তা দিতেই আইসিটিতে আসা।

 

মানুষ কেন সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়?

অসতর্কতা। ফেসবুক ও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেই সব হয়ে যায় না, প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। ধরুন, সাগরে জাহাজ চলছে। সতর্কতার সঙ্গে না চালানো হলে জাহাজ সাগরে ডুবে যাবে? প্রযুক্তির বেলায়ও তা-ই। ঠিকমতো ব্যবহার করতে না জানলে সাইবার ক্রাইমের শিকার হবে মানুষ, এটাই স্বাভাবিক।

 

এটা তো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ!

জানি। আর এটাও আমার জানা যে প্রযুক্তিগত ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব। দরকার সরকারের সহযোগিতা। আইসিটি মন্ত্রণালয় যদি সহযোগিতা করে, তবে দেশবাসীকে সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচাতে পারব।

 

আপনার প্রতিষ্ঠিত আইসিটি প্রটেকশনের বর্তমান অবস্থা কী?

আমি মূলত সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করি। ডেটাবেইস সিকিউরিটি, মেনুয়েল এবং বাংলাদেশের ১২৮টি প্রতিষ্ঠানে সাইবার ক্রাইম রোধের জন্য সেমিনারও করি। এটা একটা সতর্কতামূলক বার্তা বলা যেতে পারে। একজন ব্যবহারকারী জানে না আসলে সাইবার সিকিউরিটি কী? এটা জানানো ও সতর্ক থাকার জন্য যাবতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করতে আইসিটি প্রটেকশন হাউজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এসব বিষয় নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি।

অনুপ্রেরণা পেলেন কীভাবে?

বড় কথা হচ্ছে, আমাদের দেশে নারীরা বেশিরভাগ সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে, যার ফলে অনেকের সংসারও ভেঙেছে। বিষয়গুলো আমাকে ভাবিয়েছে। আমার পরিবারের সদস্যরা উৎসাহ দিতেন। পড়ালেখাও করেছি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে।

 

সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করা কী সম্ভব?

অবশ্যই সম্ভব। আমাদের প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সরকার আমাদের সহযোগিতা করলে সাইবার ক্রাইম নির্মূল করা সম্ভব।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতি আপনার পরামর্শ

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এই মাধ্যমটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা আছে, কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো দরকার সেগুলো তারা প্রয়োগ করতে জানে না। দেশে যারা প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের জন্য এক ধরনের কল সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। আর যদি এমন কিছু গড়ে তোলা না যায় তবে আমরা কখনোই ভালো কোনো অবস্থায় যেতে পারব না।