প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান যুগে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে নিজেদের প্রস্তুতের জন্য শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই, যাতে তারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে। এ কথা মাথায় রেখেই তার সরকার শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে সারা দেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

একই অনুষ্ঠানে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সূত্র: বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষাকে আরও আধুনিক, উন্নত ও বিজ্ঞানসম্মত করতে চাই। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাকেও আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে একজন ছেলেমেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরা কিছু করতে পারে।’

ভালো ফলের জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো ফল করতে হলে আমাদের শিশুদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন ফল আরও ভালো হয়, সেজন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।’

সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়াসহ বৃত্তি প্রদান করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গরিব মা-বাবার ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য আমরা বছরের শুরুতেই বই দিচ্ছি। স্কুল ও কলেজ সরকারি করে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যেন নদীনালা-খালবিল পার হতে না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে স্কুল করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। উচ্চশিক্ষাসহ সর্বস্তরে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে থাকবে না কোনো দরিদ্রতা, বৈষম্য। থাকবে উন্নত সমাজব্যবস্থা।’ পড়াশোনার পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সারাক্ষণ শুধু পড়ো পড়ো করলে ছোট ছেলেমেয়েদের ভালো লাগে না। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তাদের পড়ালেখা শেখাতে হবে। তবেই সেটা ফলপ্রসূ হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবেন। এখন আমরা সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি।’ ব্রডব্যান্ড ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০