Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:54 pm

প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে অস্ট্রেলিয়া

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফেসবুক ও গুগলের মতো বিশ্বের বৃহত্তম টেক জায়ান্টগুলোর আচরণ ও নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একটি সংসদীয় তদন্ত পরিচালনা করবে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের রয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

নতুন আইনের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়ে স্কট মরিসন বলেন, নতুন এ তদন্তের পরিধি অনেক বড় হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহƒত অ্যালগরিদমগুলো তদন্ত করতে বলা হয়েছে কমিটির আইন প্রণেতাদের। প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে শনাক্ত করে, বয়স যাচাই করে ও তাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন।

মরিসন আরও বলেন, বড় প্রযুক্তির উত্তর দেয়ার জন্য বড় প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি যারা বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে তাদের দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। এ নতুন তদন্তের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও ফেসবুক-গুগলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি ফেসবুক তার নাম পরিবর্তন করে মেটা রেখেছে।

এ বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া কঠোর নতুন আইন প্রয়োগ করেছে। ফলে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে কনটেন্টের জন্য দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। যারা সামাজিক মাধ্যমে মানহানিকর মন্তব্য পোস্ট করে, তাদের সম্পর্কে যাতে তথ্য পাওয়া যায় এমন আইনেরও প্রস্তাব করেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংসদীয় কমিটিকে। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে মস্কোর একটি আদালত অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেডের গুগলকে ফের ৩০ লাখ রুবল বা ৪০ হাজার ৪০০ ডলার জরিমানা করে। নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু সরিয়ে না নেয়ায় এ জরিমানা করা হয়। তবে এ জরিমানাকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সার্চ ইঞ্জিন ও ইউটিউব থেকে নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলতে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় এ বছরের অক্টোবরে গুগলকে জরিমানা করার হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া। মনে করা হয় বিদেশি কারিগরি সংস্থাগুলোর লাগাম টানতে এ জরিমানা মস্কোর সবচে শক্তিশালী পদক্ষেপ।

এর আগে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে কয়েকবার জরিমানা করেছে।