শোবিজ ডেস্ক: বড় কোনো চলচ্চিত্র নয়, শুধু একটি শর্ট ফিল্মও যে অনেকের মন জয় করে নিতে পারে, তার বড় উদাহরণ জয়া আহসান অভিনীত ছোট সিনেমা ‘ভালোবাসার শহর’।
গত শনিবার ছিল জয়া আহসানের জš§দিন। তার আগের দিন শুক্রবারই মাত্র ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। জš§দিন আর ঈদের উপহার বলা চলে ছবিটিকে। মুক্তির আগে থেকেই পোস্টার ও গানের জন্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছিল শর্ট ফিল্মটি। আর মুক্তির পর এখন তা অনেকের মুখে মুখে। ছবিটি নির্মাণের পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী আরেকবার নিজেকে প্রমাণ করলেন। ছবিটি দেখে এর রিভিউ লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। তা প্রকাশিত হয়েছে কলকাতাভিত্তিক পোর্টাল এবেলায়। নিচে হুবহু তা তুলে দেওয়া হলো।
গল্পে দেখা যায়Ñলোহা ভাঙা… খাতা… রেডিওতে একটানা খবর… পুজো সেরে কাজে বেরোনো মেয়েটিকে জড়িয়ে নি¤œ মধ্যবিত্ত গন্ধ। মেয়েটি অন্নপূর্ণা (জয়া)। নিঃসাড়ে পড়ে থাকা অসুস্থ মেয়ে নুরির দেখাশোনা করে সে। সংসার সামাল দিতে দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে। অন্য উপায়ে উপরি রোজগারের অফারও আসে। কিন্তু তাতে মন সায় দেয় না। আর?
আর অপেক্ষা করে…। বড় দীর্ঘ সেই অপেক্ষা। ভালোবাসার মানুষের ফিরে আসার অপেক্ষা। আদিলের ফিরে আসার অপেক্ষা। আবহে বাজতে থাকে, ‘আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলা রে…’।
আদিল আর নুরিকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিল অন্নপূর্ণা। দূর দেশের এক যুদ্ধ তাতে থাবা বসিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে অন্নপূর্ণার সাধারণ চাওয়া-পাওয়া। ভালোবাসার শহর কলকাতা কি ফিরিয়ে দেবে তার পাওনা? গল্প বুনেছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। তার ‘ভালোবাসার
শহর’ ছবিতে।
ইন্দ্রনীল, আপনাকে কুর্নিশ।
কারণ?
বিষয় ভাবনায় যে আপনি স্বতন্ত্র, তার প্রমাণ আগেও দিয়েছেন। ‘ফড়িং’ তার জ্যান্ত নজির। সেই এক্সপেকটেশন নিয়ে ছবি দেখতে বসলে আপনি হতাশ করবেন না, গ্যারান্টি। কিন্তু কুর্নিশ আপনার প্রাপ্য, এ সাহসটা দেখালেন বলে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তির পথটা আরও মসৃণভাবে দেখালেন। বড় বাজেট, প্রোমোশন, ডিস্ট্রিবিউশন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সরাসরি দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এ উদ্যোগকে কুর্নিশ। এবেলা ডট ইনের প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল রিলিজ হলো এ ছবি। ‘ভালোবাসার শহর’ নির্দিষ্ট কোনো শহরের গল্প নয়। এটা আসলে পৃথিবীর যে কোনো শহরের গল্প। মাত্র ৩০ মিনিটের ছবিটিকে আক্ষরিক অর্থেই ‘অন্নপূর্ণা’র মতো আগলে রেখেছেন জয়া আহসান। দৈনন্দিনের রোজনামচা পেরিয়ে নিয়তিকে মেনে নেওয়ার লড়াইয়ে আপনি উত্তীর্ণ। ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার ও অরুণ মুখোপাধ্যায় নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন নিঃশব্দে।
ছবির শেষে পেটিএম নম্বর ও ব্যাংক ডিটেলস দিয়ে সরাসরি দর্শকের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন একেবারেই নতুন উদ্যোগ। মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যাপার। মাউস অথবা স্মার্টফোনের এক ক্লিকেই ‘ভালোবাসার শহর’ এখন আপনার কাছে বন্দি। সৌজন্যে ইউটিউব অথবা ভিমিও।