নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দ্বন্দ্বের খবর মাঝেমধ্যে এলেও বাস্তবে তা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশটা পরিচালিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। রাজনীতিতে নীতি তৈরি করা, আইন তৈরি করা, জনগণের দাবি আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অধিকার আদায় করাÑসবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে (প্রশাসনের) কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা তৈরি হলে এটাকে অবশ্যই রাষ্ট্র ‘হ্যান্ডেল’ করবে। এই ‘কমিটমেন্ট’ রাষ্ট্রের আছে এবং আমরাও অঙ্গীকারবদ্ধ।
ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ করছেন রাজনীতিকরা। সংসদেও কথা উঠেছে যে সরকারি কর্মকর্তারা সংসদ সদস্যদের ‘দাম দেন না’। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, রাজনীতিকরা তাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চান।
ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তাজুল বলেন, সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয়, এটা বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান একসঙ্গে অনেক ভালোভাবে কাজ করছেন। আবার কোথাও সমস্যা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যেখানে যেখানে জটিলতা আছে, সেখানে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। আর আমি নিজেও এটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। এখানে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবীÑসবাই মিলে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের অত্যন্ত আন্তরিক বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা তাদের মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছেন, কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে শক্তিশালী করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন ডিসিরা।
তাজুল বলেন, আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নেই। কিছু কিছু জায়গায় কম হয়, সেখানে যাতে ‘সাবসিডি’ দেয়া যায়, সে প্রসঙ্গ এসেছে। এগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।
মানুষের আয় বাড়লে তাতে সরকারের আয়ও বাড়বে বলে উল্লেখ করে সেদিকে নজর দিতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী তাজুল। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আয় ও সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
আয় বাড়াতে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কথায় এসেছে তাদের কিছু ‘এমপ্লয়ি’ লাগবে। ইউনিয়ন পরিষদে আরও লোকবল লাগবে। এটি করতে গেলে তাদের আয় বাড়াতে হবে।
