Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:31 am

প্রসাধনীর ব্যবসা করতে ঔষধ প্রশাসন থেকে নিতে হবে লাইসেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানহীন ও নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বন্ধে আইনি কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। প্রসাধনী ব্যবসা করতে হলে ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ সংসদে তোলা হয়েছে গতকাল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে তোলেন। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথরিটি হিসেবে কাজ করবে।

এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন, তাদেরও লাইসেন্স নিতে হবে। সেজন্য ঔষধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে। বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে রাখা হয়েছে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান। ১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন এবং ১৯৮২ সালের দ্য ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্টÑএ দুটোকে এক করে এই বিল আনা হয়েছে সংসদে।

প্রস্তাবিত আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ, ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ঔষধ ছাড়া রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ওষুধ বিক্রি করা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকেও সেখানে ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনি¤œ ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।