কাজী সালমা সুলতানা: গত সপ্তাতেই পারিবাবিক ভ্রমণে গিয়েছিলাম কক্সবাজার। তখন প্রচণ্ড তাপদাহ চলছিল। তিন দিনের ভ্রমণ শেষেই যখন ঢাকা ফিরে আসি, জানলাম ঘূর্ণিঝড় মোখা আসছে। ঝড়ে বাতাসের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে বিপদ সংকেতও বাড়তে থাকল। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জানানো হলো। ১৪ মে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা শেষ পর্যন্ত প্রবল আঘাত না হানলেও যেটুকু হয়েছে, এতে যে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা এড়ানো গেছে। যদিও ‘মোখা’র আঘাতে মিয়ানমারে ২৯ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মোখার প্রভাব শেষ না হতেই জানা যাচ্ছে আবার আসছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এ দেশে প্রায় প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, নদীভাঙন, খরা, শৈতপ্রবাহ, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি দুর্যোগ আঘাত হেনে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন বাংলাদেশে দুর্যোগের মাত্রা ও তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
বিশ্বের যে ক’টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ২০০৭ সালের বন্যা, প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ ও ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ২০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ২০ কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবেশদূষণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, দরিদ্রতা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছাড়াও এ দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। এ কারণে প্রকৃতিগতভাবে দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কে এদেশের মানুষের মধ্যে নিজস্ব একটি কৌশল গড়ে উঠেছে। আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে ত্রাণনির্ভরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের প্রেক্ষাপটে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুর্যোগ প্রস্তুতি কার্যক্রমকে জোরদার করে ঝুঁকি হ্রাসের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছে।
আর এ জন্যই বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বন্যায় বাংলাদেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ক্ষতি দেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। সামগ্রিকভাবে এর পরিমাণ নির্ণয় করা কঠিন।
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের জন্য একটি প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ধ্বংস ক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হেনে থাকে। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময়ে সাধারণত জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। প্রায় প্রতি বছরই বঙ্গোপসাগরে কোনো না কোনো নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে কোনো কোনোটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আবার কোনোটি হয়তো দুর্বল হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাংলাদেশে জানমালের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস কখনও কখনও এত ভয়াবহ রূপ নেয় যে গোটা উপকূলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ১৮৭৬ সালের ঘূর্ণিঝড়ে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১৩.৬ মিটার। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ৯.১১ মিটার। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ছিল অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এর বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২২৪ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের গোটা উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৩ লাখ লোক প্রাণ হারায়।
নদীভাঙন বাংলাদেশের একটি চলমান দুর্যোগ। তবে এর ফলে কী পরিমাণ ক্ষতির শিকার হচ্ছে তা পরিমাপের সুনির্দিষ্ট কোনো সূচক নেই। এ কথা নির্দিধায় বলা যায়, নদীভাঙনের ফলে প্রতি বছর বিপুল সম্পদের ক্ষতি হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভূমণ্ডলীয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়। প্রতি বছরই বাংলাদেশকে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। ফলে ক্ষতি সাধিত হয় আমাদের জীবন ও সম্পদের। সাধারণত বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা বেশি হয়ে থাকে; কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশসহ পাশের দেশগুলোয় ছোটবড় বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বশেষ বড়ধরনের শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্প ১৯১৮ সালে সংঘটিত হয়েছে। সাধারণত ১০০ বছরের কমবেশি ব্যবধানের মধ্যে বড় মাত্রার ভূমিকম্পগুলো সংঘটিত হয়ে থাকে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরাও বাংলাদেশে যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প সংঘটনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘনবসতি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের পূর্বপ প্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পূর্বাচলে একটি স্টেজিং এরিয়া নির্মাণ করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সিভিল মিলিটারি সমন্বয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিজিওনাল কনসালটেটিভ গ্রুপের (আরসিজি) মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশে এ পর্যন্ত বিপুল প্রাণের ক্ষয়, ফসলের ক্ষতি, সম্পদহানি হয়েছে। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাইক্লোন ও জলোচচ্ছ্বাসে প্রায় কয়েক লাখ লোকের মৃত্যু হয়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় প্রায় এক কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৭ সালে দেশে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় সোয়া কোটি মানুষ। ক্ষেতের ফসল, বাড়িঘর, গবাদি পশু, গাছপালা সবই ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার সমুদ্র-উপকূলে প্রাণ হারায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ। ২০১৭ সালের বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিসূচক অনুযায়ী, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে ষষ্ঠ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় সেই দেশ কতটুকু প্রস্তুত সেটাও বিবেচনায় নেয়া হয়।
তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ‘গোর্কি’ নামের ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ভেসে যায় লাখ লাখ গবাদি পশু ও আবাদি ফসল। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় এক লাখ আটত্রিশ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এছাড়া এক কোটি মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১০ লাখ ঘর-বাড়ি। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’-এ সাড়ে তিন হাজার মানুষ মারা যায়। ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৯ লাখ ৬৮ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে। আইলায় কমপক্ষে তিন লাখ পরিবার ঘর-বাড়ি হারান। প্রায় দু’শ মানুষ মারা যায়। এ ঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলে লবণ পানি প্রবেশ করায় পানীয় জলের তীব্র সংকট তৈরি হয়, যে সংকট এখনও কাটেনি। এছাড়া, ২০১৩ সালের ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোহসেনের আঘাতে কমপক্ষে ৫০ জন, ২০১৬ সালের ২১ মের ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে ২৪ জন, ২০১৭ সালের ৩০ মে’র ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ৬ জন, ২০১৯ সালের ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ৯ জন, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বুলবুলের আঘাতে ২৪ জন প্রাণ হারায় এবং সাম্প্রতিক ২৫ মে আঘাত হানা ইয়াসের আঘাতে প্রাণহানি খুবই নগণ্য। তবে সবগুলো ঝড়েই ফসল এবং কাঁচাবাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পরেই উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প হাতে নেয়া হয় এবং এ প্রকল্প পরে ব্যাপক বনায়ন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলবর্তী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতির পরিমাণ হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। উপকূলবর্তী এলাকায় সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি ব্যাপক বনায়ন, বিশেষত ম্যানগ্রোভ জাতীয় বৃক্ষাদি রোপণ করার মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
বিগত তিন চার দশক আগে এ ধরনের দুর্যোগে যেখানে লাখ লাখ লোক মারা যেত, সেখানে দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতার কারণে এখন প্রাণহানির সংখ্যা খুবই হাতেগোনা। দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষের সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুর্যোগ প্রস্তুতির তথ্যও দ্রুত সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সাফল্য
প্রকৃতি তার নিজের খেয়ালে চলে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করার শক্তি যেমন মানুষের হাতে নেই, তবে দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ জন্য গণসচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি দরকার ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ, উঁচু বাঁধ তৈরি।
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ আগের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও আত্মনির্ভরশীল। ইতোমধ্যে সরকার ভূমিকম্প ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার দিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। পাশাপাশি দুর্যোগকালে ও দুর্যোগের পরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেমন, আহতদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়া, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং জরুরি খাদ্য-বস্ত্রের ব্যবস্থা করাসহ সফলভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ আজ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
গণমাধ্যমকর্মী