প্রাক-বাজেট আলোচনা:স্নাতক পর্যায়ে টিউশন ফি বাড়বে: অর্থমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পাঁচগুণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় একথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি পাঁচগুণ করা হবে, দেখি কী হয়।’ আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের উপরে অর্থাৎ স্নাতক পর্যায় থেকে এই ফি বাড়ানো হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য জেলা পরিষদগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

এনজিও প্রতিনিধিরা আলোচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ইত্যাদি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।

সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আইসিইউর নামে যে বাণিজ্য চলছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউর ভাড়া ফাইভ স্টার হোটেলের চেয়েও বেশি।

দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অতিরিক্ত এক বছর সেবাদান বাধ্যতামূলক করা এবং চিকিৎসা-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির ওপর কর কমানোর দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনজিও প্রতিনিধিরা তামাকজাত দ্রব্যাদির ওপর বাড়তি কর আরোপের আহ্বান জানালে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিড়িকে বিদায় নিতে হবে, বিড়ির চেয়ে খারাপ কিছু নেই। বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিড়ির প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, গত আট বছরে দেশের সড়ক খাতে বিপ্লব হয়েছে। বর্তমানে আর কোনো নতুন সড়কের প্রয়োজন নেই। এখন যা আছে, সেগুলোর উন্নয়ন করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় মোট জাতীয় বাজেটের ১৮ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। উপজেলা শিক্ষা তহবিলসহ স্কুলগুলোতে মিড-ডে মিল চালুর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশের ১১ হাজার স্কুল জরাজীর্ণ। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি পাঁচজনে একজন এবং মাধ্যমিকে ১০ জনে চারজন ঝরে পড়ে। তিনি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানান।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু নাসের খান বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। এদেশের মন্ত্রীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান। তাই দেশেই চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।

এনজিও প্রতিনিধিরা সরকারের রূপকল্প ও এসডিজির আলোকে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা ২০৩০ সালের আগেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হব। কিন্তু এর বড় চ্যালেঞ্জ হলো আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০