নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রাক-যোগ্যতা সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। ১০২ দশমিক ৫৮ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির উন্নয়ন করছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। এ নিয়ে বেজা থেকে তৃতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাক-যোগ্যতা সনদ পেলো মেঘনা গ্রুপ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেজা কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির কাছে এ সনদ হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বেজা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাক-যোগ্যতার সনদপত্র দিয়েছে। এর মধ্যে মেঘনা গ্রুপ মেঘনা অর্থনৈতিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন নামের দুটি এলাকা উন্নয়নের অনুমোদন পেয়েছে। নতুন অনুমোদন পাওয়া কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্টিল মিল, কেমিক্যাল প্ল্যান্ট ও ফার্মাসিউটিক্যাল বোতল শিল্প গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য যখন কাজ শুরু করেছি তখন এর প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল না। এখন আমরা এত বেশি আবেদন পাচ্ছি যে ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে সেবা দেওয়ার জন্য এখন আমাদের অনেক জনবল দরকার। নতুন করে ১৮৩ জন জনবল নিয়োগের উদ্যোগ চলছে। আগামী অর্থবছরের মধ্যে আমরা আমাদের সেবা প্রসারিত করতে পারব। আমাদের স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সমৃদ্ধ বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এখন বিনিয়োগ জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তানভীর আহমেদ মোস্তফাসহ বেজার কর্মকর্তারা। এ সময় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা আগে দুটি অঞ্চলের লাইসেন্স পাওয়ার পর নিজ উদ্যোগে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস, এমপিপি পাওয়ার প্ল্যান্ট লি., সোনারগাঁ ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলস, মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি, মেঘনা পিভিসি লি, মেঘনা কনটেইনার পোর্ট, তাসনিম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স (ইউনিট-২), সোনারগাঁ সিড ক্র্যামিং মিলস, মেঘনা সুগার রিফাইনারি প্রভৃতি শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া অপর একটি অঞ্চলে ইউনিক সিমেন্ট ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ও মেঘনা বেভারেজের কারখানা স্থাপিত হয়েছে।’
তিনি প্রকল্প উন্নয়নে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, একটি প্রকল্পের জন্য বিদেশি ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পেনডিং রয়েছে। অপর একটি প্রকল্পের সাইট ক্লিয়ারেন্স প্রস্তাব পরিবেশ অধিদফতরে রয়েছে। এছাড়া মেঘনা গ্রুপের সাতটি ইন্ডাস্ট্রিজকে মেঘনা অর্থনৈতিক জোনে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি এনবিআরে ঝুলে আছে। এছাড়া জমির বন্দোবস্তসংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে তিনি কথা বলেন। এর জবাবে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রথম উদ্যোক্তারা নানা সমস্যার মধ্য দিয়েই অতিক্রম করে। পরবর্তী উদ্যোক্তারা এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
Add Comment