প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীতে বন্য পাখি প্রদর্শন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বিদেশি পাখির পাশাপাশি ময়না,টিয়া,মুনিয়া পাখি খাঁচা বন্দি করে প্রদর্শন করা হয়েছে।অথচ প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তার সার্কুলারে কবুতর,বাজুরিকা,লাভবার্ডস ও ঘুঘু পাখি প্রদর্শিত করতে বলেছেন।
এসময় প্রদর্শণীতে ইউএনও নূর ই এলাহী,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল হক,এসিল্যান্ড সহ সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাখি গুলোর মালিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক শেয়ার বিজকে বলেন,এগুলো পেট এনিম্যাল(পোষ্য) তালিকায়।এগুলোর পোষান জন্য কোনো নিষেধ নেই।আমার পাখির খামার করার জন্য কোনো লাইসেন্স করতে হয়নি।হরিণি পালনে লাইসেন্স লাগে।
একই কথা বলেন উপজেলা প্রাণি সস্পদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার।তিনি বলেন,এগুলো টিয়া,ময়না সহ দেশীয় পাখি গুলো ওয়াইল্ড নয়।এগুলো পোষা যায়।
তবে,বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ২০১২ আইনে বলা আছে, পোষা পাখি(পেট এ্যানিমেল) এর বিষয়ে লাইসেন্স,পজেসন ফি,পরিদর্শন,প্রদর্শন করার কথা বলা আছে।লাইসেন্স না করলে জেল জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের কথা বলা আছে।
(পোষা পাখি) এ্যানিমেল শুধুমাত্র হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর,ঢাকার মাধ্যমে আমাদানি ও রপ্তানির কথা বলা আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ৬ গ্রেডের নির্বাহি ম্যাজিস্টেট বলেন,টিয়া ময়না এগুলো বন্য প্রাণি।এগুলো খাঁচায় পোষা অপরাধ।
লালমনিরহাটের জেলা বন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন,টিয়া ময়না এগুলো খাঁচায় পোষা যাবেনা।এগুলো পেলে আমরা অবমুক্ত করি।গেলো বছর শহরের মিশন মোড়ে পাখির দোকানে পেয়ে অবমুক্ত করেছি।
