মিজানুর রহমান মিলন:স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা প্রাণী কিনতে চান না ক্রেতারা। ক্রেতাদের চাহিদায় রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা গরু ও ছাগল। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় তাই নানা উন্নয়ন সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ১২৬টি খামার। এসব খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু-ছাগলের পরিচর্যা করা হয়।
সৈয়দপুরের বাঁশবাড়ী এলাকায় এমনি একটি খামার ইউসুফ ডেইরি ফার্ম। খামারের উদ্যোক্তা জামিল আশরাফ মিন্টু। পরিবেশবান্ধব এ খামারে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দেশি সংকর জাতের গরু-ছাগল লালন-পালন করা হয়। এবারের ঈদুল আজহার জন্য অর্ধশতাধিক গরু প্রস্তুত করেছেন মিন্টু। খামারে সর্বনি¤œ ৩৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ ২০ হাজার টাকার গরু রয়েছে।
মিন্টু জানান, নিজ আগ্রহে পাঁচ বছর আগে তিনি গড়ে তোলেন এ খামার। প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা শুরু করেন। স্থানীয় পশুহাট থেকে সংগ্রহ করেন দেশি ও সংকর জাতের গরু। মিন্টু আরও জানান, তার খামারে স্টেরয়েড জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করা হয়। খাবারের মধ্যে রয়েছে ভুট্টা, সয়াবিন, খেসারির ডাল, খুদিচালের ভাত, ভুসি, খৈল, ধানের গুঁড়া, চিটা গুড়, খড়, স্যালাইন প্রভৃতি। রোগবালাই নির্মূলের জন্য একজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন তার খামারে। ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খামার পরিদর্শন করেছেন ও লালন-পালন পদ্ধতি দেখে স্বাস্থ্য সনদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছেন। কোরবানির ক্ষণ ঘনিয়ে এলেও স্থানীয় পশুর হাটে এখনও গরু আমদানি শুরু হয়নি। তবে গরু ব্যবসায়ী ও বেপারীরা খামারিদের সঙ্গে গরু-ছাগলের দরদাম করছেন। অনেকে দাম স্থির করে বায়না দিচ্ছেন।
সৈয়দপুর
Add Comment