Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:56 am

প্রাতিষ্ঠানিকদের সক্রিয়তায় বেড়েছে ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারদরও

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো এক খাতে বেশি সময় বিনিয়োগ স্থির রাখছেন না বিনিয়োগকারীরা। খাতভিত্তিক লেনদেনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেশি। আবার বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রবণতায় একটি সংঘবদ্ধতার পদচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একসঙ্গে কোনো এক খাতে ঝুঁকছেন আবার বেরিয়ে যাচ্ছেন। এতে খাতভিত্তিক শেয়ারের দাম ওঠানামা করছে। এভাবে লেনদেন যেমন বাড়ছে, তেমনি নতুন বিনিয়োগও বাজারে প্রবেশ করছে। এতে মৌলভিত্তির সঙ্গে বাড়ছে ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারের দামও।

সব মিলিয়ে সূচকের উত্থান হচ্ছে পুঁজিবাজারে। সূচকের উত্থান ও বাজার মূলধনের সঙ্গে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। আবার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হওয়ায় আশ্বস্ত হচ্ছেন বাজারের প্রতিও। গত সপ্তাহের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাজার বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন চিত্র।

গত ৫ আগস্ট শেষ হওয়া ডিএসইর সার্বিক লেনদেন এমনই ইঙ্গিত বহন করে। এটি গত ঈদুল আজহা-পরবর্তী পুঁজিবাজারের জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহ ছিল। ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ার ও মৌলভিত্তির কোম্পানির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান সূচকের তাৎপর্যপূর্ণ উল্লম্ফন হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাবে গত সপ্তাহেও লকডাউনের মধ্যে ছিল পুরো দেশ। উপরন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সপ্তাহে দুদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। এতে গত সপ্তাহে পাঁচ দিবসের পরিবর্তে তিনদিন লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। তারপরও আগের সপ্তাহের পাঁচ দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া লেনদেনের অনুপাতে গত সপ্তাহের তিন দিনের লেনদেনে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। যদিও লেনদেন সামান্য কম হয়েছে। কিন্তু বেড়েছে ডিএসইর সবগুলো সূচক, শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধন।

আলোচিত সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা ছিল উল্লেখ করার মতো। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল, বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ সময় অধিকাংশ খাত ইতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে শেষ করলেও কয়েকটি খাত ছিল নেতিবাচক।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বাড়ে ২৮৩টির, কমে ৮৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ১১টির ও লেনদেন হয়নি চারটির।

ডিএসই প্রধান সূচক ১৭০ দশমিক ৮২ পয়েন্ট, ডিএসই ৩০ সূচক ৫৮ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক ৩৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বাড়ে। আলোচিত সময়ে প্রধান সূচকের উত্থান ছিল উল্লেখযোগ্য করার মতো।

তথ্য বলছে, ডিএসইতে গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ মুনাফা আট দশমিক ছয় শতাংশ গেইন দেখতে পান সিরামিক খাতের বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া পেপার খাতে সাত দশমিক সাত শতাংশ, ব্যাংক খাতে এক দশমিক তিন শতাংশ, আইটিতে ছয় দশমিক দুই, প্রকৌশলে পাঁচ দশমিক ছয়, বস্ত্রে পাঁচ শতাংশ, ট্যানারিতে চার দশমিক চার শতাংশ গেইনার দেখা যায়।

আলোচিত ডিএসইতে লেনদেনে সর্বোচ্চ অবদান রাখে প্রকৌশল খাত ১৪ দশমিক ছয় শতাংশ। বস্ত্র খাত ১৩ দশমিক এক শতাংশ, ওষুধ ১২ দশমিক তিন শতাংশ।

একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে মেট্রো স্পিনিং, জেমিনি সি ফুড ও সিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। অন্যদিকে শেয়ারদর হারানোর তালিকায় শীর্ষে নাম লেখায় প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, এশিয়ান টাইগার ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।