মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সম্প্রতি পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই ছন্দপতন দেখা দিয়েছে, যে কারণে সূচক পতনের পাশাপাশি কমছে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। ফলে টিকে থাকতে বিনিয়োগেও নিত্য পরিবর্তন আনছেন বিনিয়োগকারীরা।
সম্প্রতি তারা যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেশি রয়েছে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন, যে কারণে এই ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গতকালের বাজারেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারচিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গতকাল ৪৮ শতাংশ বিনিয়োগকারী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেশি রয়েছে এমন ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত অনেক ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করেন। যে কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও এই ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে। বর্তমানে বাজারে এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
এদিকে গতকালের খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। গতকাল সকাল থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল এই খাতের কোম্পানির শেয়ারে, যা সারা দিনই অব্যাহত থাকে। এর জের ধরে দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১২ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল মোট লেনদেনে বিমা খাতের অবদান আগের চেয়ে কমে যেতে দেখা যায়। বিমার কোম্পানি মার্জিন সুবিধা পাচ্ছে না, এমন গুজবে গতকাল এ খাতে থেকে অনেকেই বিনিয়োগ তুলে নেন। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দাঁড়ায় ২৯ শতাংশ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি লেনদেন হতে দেখা যায়। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৬৫০ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৯ কোটি টাকা। এই মার্কেটে অংশগ্রহণ করে ২৭টি কোম্পানি। এর আগের দিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৮৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে লেনদেন বাড়লেও গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সূচক আগের দিনের জায়গায় স্থির থাকে। দিন শেষে সূচক স্থির থাকে চার হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে।