রুবাইয়াত রিক্তা: সারা সপ্তাহ ধরে পতনের পর অবশেষে শেষ কার্যদিবসে এসে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক গতি দেখা গেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট। সে সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে ৬৫ কোটি টাকার বেশি। লেনদেনের শুরু থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক বেড়ে যায়। ছোট-বড় প্রায় সব খাতেই শেয়ার কেনার চাপ ছিল। বিমা খাতে মুনাফা তোলার প্রবণতা থাকায় লেনদেন বাড়লেও দরপতনের হার বেশি ছিল। অন্যদিকে গতকাল ব্যাংক খাতের লেনদেন পাঁচ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর্থিক খাতেও লেনদেন বেড়েছে। তবে এ খাতে দর বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বেশি ছিল।
মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ হয় বিমা খাতে। এ খাতে ৪৫ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও সাড়ে ১৪ টাকা দরপতন হয়। ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ও আট দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। প্রায় ১৪ শতাংশ লেনদেন হয় বস্ত্র খাতে। এ খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের সাত কোম্পানি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। ১০ শতাংশ বেড়ে জাহিন স্পিনিং, ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে দেশ গার্মেন্টস, পৌনে ১০ শতাংশ বেড়ে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে আনলিমা ইয়ার্ন, ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে প্রাইম টেক্সটাইল, প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে মতিন স্পিনিং, সাড়ে সাত শতাংশ বেড়ে এইচ আর টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। ব্যাংক খাতে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্যাংক এশিয়ার পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৩০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। আর্থিক খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। জ্বালানি খাতের ইউনাইটেড পাওয়ারের সাত কোটি ৯৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৫ টাকা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। খুলনা পাওয়ারের সাড়ে ছয় কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৩০ পয়সা। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৫৫ শতাংশ কোম্পানির দর বাড়লেও ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। বিবিধ খাতের সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ছয় কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় দুই টাকা ৭০ পয়সা। ওষুধ খাতে লেনদেন কমলেও ৬২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া পাট খাতের নর্দান জুটের আট কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দরপতন হয় ৫১ টাকা।