মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৮ পয়েন্টে কমে স্থির হয় পাঁচ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর হ্রাস পায় ১৭২টি। পক্ষান্তরে ৭৫টির দর কমার পাশাপাশি ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দিনের শুরুতে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এই সময়ে দর বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সিংহভাগ কোম্পানিতে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে ধীরে ধীরে দর কমতে থাকে। যে কারণে দিন শেষে দর হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি দেখা যায়।
গতকাল অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের নজর ছিল যেসব কোম্পানিতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে সেসব কোম্পানিতে। সারাদিনই এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। দিন শেষে দেখা যায় প্রায় ৪৩ শতাংশ বিনিয়োগকারীর নজর ছিল এ ধরনের শেয়ারে।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের মতো গতকাল এগিয়ে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশের বেশি ছিল এ খাতের অবদান। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন ও প্রকৌশল খাতের সন্তোষজনক লেনদেন চোখে পড়ে। বাকি খাতগুলো প্রায় বিবর্ণ।
অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৬১৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ১৮ কোটি টাকার শেয়ার। গতকাল এই মার্কেটে মোট ২৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৮১ লাখ ১৫ হাজার টাকার সামিট পাওয়ারের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর।