প্রাথমিকে পরীক্ষা ছাড়াই পাসের সার্টিফিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে কভিড সংক্রমণের পর থেকেই স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এখন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। করোনার কারণে এ বছর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে গ্রেড বা জিপিএ নম্বর ছাড়া সব পরীক্ষার্থীর জন্য পাসের সার্টিফিকেট বিতরণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।

বৈশ্বিক মহামারির জন্য গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ডিপিই।

জানা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও স্কুল খোলা হবে বলে সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে পঞ্চম শ্রেণির অপেক্ষমাণ রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীদের পাসের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে সেসব সার্টিফিকেটে কোনো জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট উল্লেখ থাকবে না। সার্টিফিকেটে শুধু উত্তীর্ণ লেখা থাকবে। সেটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে নিবন্ধন করা পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে পাসের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে গ্রেড বা জিপিএ দেওয়া হবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে বিতরণ করা হবে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর ভিত্তিতে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তাতে সম্মতি দেওয়া হয়। পরে পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

অপরদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে পরে এ কথা জানানো হয়।

স্কুল-কলেজ খোলা ও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এগুলো এখন করোনার লেটেস্ট যে সার্কুলার তাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এখন আর সেন্ট্রালি অত বড় এমবার্গো (বিধি-নিষেধ) দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। সেজন্য গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে জার্মানিতে কথা বললাম, তারা সব ওপেন করে দিচ্ছে। যদিও ধরা পড়ছে। কিন্তু কী করবে, কতদিন আর বন্ধ রাখা যাবে? এ জন্য আমরা এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছি।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) আলাদা চিন্তা-ভাবনা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে) করছে, কীভাবে করা যায়। কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়েছে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০