প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফাস ফাইন্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২০) এবং তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ৬২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই পয়সা। আর প্রথম ছয় মাসে বা দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি- জুন, ২০২০) শেষে ইপিএস দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা ৮৮ পয়সা (লোকসান)। আগের ছিল ১৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে তিন টাকা ৯৫ পয়সা (লোকসান), যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল এক টাকা ৯৩ পয়সা। আর জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে আট পয়সা লোকসান, যা আগের বছর একই সময় ছিল ছয় টাকা ৬৪ পয়সা (লোকসান)।

আর চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৬৬ পয়সা লোকসান, আগের বছর একই সময় ছিল এক পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ছয় টাকা ৬১ পয়সা লোকসান।

এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ১২ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৯৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ পাঁচ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ৬৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ পাঁচ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ছয় টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি সাত লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বাকি ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০