নিজস্ব প্রতিবদেক: নানা অনিয়ম পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রাভা হেলথের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
প্রাভা হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পেয়েছে, যা অগ্রহণযোগ্য। এ অবস্থায় তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।
২০১৮ সালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা চালুর ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসে প্রাভা হেলথ। স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ, রোগ নির্ণয়, ওষুধ, অনলাইনে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ চিকিৎসা-সংক্রান্ত নানা সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। মহামারি শুরুর পর কভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষাও করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রাভা হেলথের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর সড়কে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নমুনা কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং ও ডফিং রুম থাকার নিয়ম থাকলেও প্রাভা হেলথে একই কক্ষে দুটি কাজই চলছিল। আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টে বিএমডিসির নিবন্ধিত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু প্রাভা হেলথের দেয়া কোনো প্রতিবেদনে তা ছিল না বলে অধিদপ্তর জানিয়েছে। প্রত্যেক বিদেশগামী যাত্রীর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার-নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৫০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও প্রাভা হেলথ নিবন্ধন ফির নামে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা আদায় করছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হচ্ছে, প্রাভা হেলথ তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের ‘পার্টনার’ বলে দাবি করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইলে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। বরং ওই শব্দটি পরিবর্তন করে ‘আওয়ার করপোরেট ক্লায়েন্টস’ জুড়ে দিয়েছে।