Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 9:21 pm

প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে সাদিক, শাম্মী ও শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা হারানো আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদ ও শামীম হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চে শাম্মী আহমেদ ও শামীম হক শুনানির অনুমতি নিয়েছেন বলে তাদের আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক জানিয়েছেন।

আর সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চে সাদিক তার আবেদনের ওপর শুনানির অনুমতি নিয়েছেন।

দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আদালতে গেলেন।

তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও বরিশালের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।

কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন।

বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সেটি ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তথ্য গোপনের অভিযোগে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনে শুক্রবারের শুনানিতে পঙ্কজের প্রার্থিতা টিকে গেলেও দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।

অপরদিকে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক একে অপরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে পাল্টাপাল্টি আপিল করেছিলেন ইসিতে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ ছিল।

শামীমের দাবি, আজাদ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আর আজাদের দাবি, শামীমের নাগরিকত্ব আছে নেদারল্যান্ডসে।

ইসির ষষ্ঠ দিনের শুনানিতে শুক্রবার এ কে আজাদের প্রার্থিতা টিকে গেলেও শামীম হকেরটা বাতিল করা হয়।