নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে এসিআরএসএল।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪৬ পয়সা ও ১৬ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৫৭ পয়সা, আগের বছর যা ছিল দুই টাকা ৩৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ আগস্ট বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৭ টাকা ১৭ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৩ হাজার ৭১৩টি শেয়ার মোট ১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯২৪ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৯২ কোটি ৪০ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার।