নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইন শপিং মার্কেট প্লেস প্রিয়শপ ডটকমের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) চাহিদায় এ তথ্য চাওয়া হয়। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।
প্রিয়শপ ডটকমের মালিক আশিকুল আলম খান সুজন ও তার পরিবারের আট সদস্যের ব্যাংক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক ও প্রিয়শপকে নির্দেশ দেয়া হয় ১০ লাখ টাকার অধিক মূল্যমানের লেনদেনের সব ভাইচার ও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়ার জন্য। গতকাল এ বিষয়ে দেশের সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আশিকুল আলম খান সুজন, তার স্ত্রী ও পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও সরবরাহ করেছে বিএফআইইউ। এসব নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।
গতকালই আশিকুল আলমের ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের বাসা ও প্রিয়শপ ডটকমের অফিসেও নির্দেশের চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দেশ প্রাপ্তির পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে যাবতীয় তথ্য সরাবরাহ করতে হবে।
বর্তমানে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। ইভ্যালি ও আলেশা মার্টের মতো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য ক্রয়ের বিপরীতে জমা দেয়া অর্থ এখনও ফেরত পায়নি গ্রাহকরা। কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেমেন্ট সিস্টেমে আটকে থাকা অর্থ এখন পর্যন্ত ফেরত পাননি গ্রাহকরা। আবার ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ পাচারের ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে। ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ করে দেয় ঘটনা আঁচ করতে পেরে।
এসব অনিয়ম ও জালিয়াতি রুখতে ইকমার্স বিশেষ করে পণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজাদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর জের ধরেই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।