Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 9:22 pm

প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পেল এনভয় টেক্সটাইলস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য কিউমুলেটিভ নন-কনভার্টেবল প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এনভয় টেক্সটাইলস  লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে আট কোটি ৭০ লাখ প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু ও অফার করবে। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটির কারখানার আধুনিকায়ন (বিএমআরই) এবং উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধ করা হবে। এ শেয়ারের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই শেয়ার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বছরে দুবার উল্লিখিত শেয়ারের সুদ পরিশোধ করা হবে। আর শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের নির্ধারিত সময়সীমার এক বছর পর থেকে শেয়ারে বিনিয়োগকৃত মূল টাকা কিস্তি আকারে ফেরত দেওয়া হবে এবং অবশিষ্ট টাকার ওপর সুদ হিসাব করা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২০ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৭০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির চার লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৮ হাজার ৪৭৩ শেয়ার মোট ৩৭ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৫ পয়সা।

এর আগের বছর, অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরে ছিল সাত শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা এক পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা এক পয়সা। আগের বছর ছিল যথাক্রমে দুই টাকা পাঁচ পয়সা ও ৩৮ টাকা ৫১ পয়সা।

২০১৮ সালে বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়ায় ৩৩ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরে ছিল ৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা। বস্ত্র খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬৩ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত সাত দশমিক ৪৬ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১০ দশমিক ৭৪।