Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:01 am

প্লাস্টিকজাত পণ্যের আধিপত্যে হুমকিতে পরিবেশ

মাছুম বিল্লাহ ভূঞা: মানুষের স্বাস্থ্য, গড় আয়ুসহ অনেক কিছুই নির্ভর করে দেশের পরিবেশের ওপর। বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা পরিবেশ বিপর্যয়। পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পলিথিন শপিং ব্যাগ ও প্লাস্টিক পানির বোতল, স্ট্র, কাপ, প্লেট, চামচ, খাবার বক্স প্রভৃতির ব্যবহার। তাই এক কঠিন সময়ের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য বর্তমানে দেশে পরিবেশের যে অবস্থা তা শুধু চিন্তিত হওয়ারই নয়, বরং উদ্বিগ্নেরও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ২৮ শতাংশ মারা যায় পরিবেশ দূষণজনিত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে। পরিবেশ দূষণের কারণে শুধু ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে শহরে জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, মানুষের তৈরি ময়লা আবর্জনাও তেমনি বাড়ছে। তাই বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে এ দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।  

এইতো কিছুদিন আগেও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে আমরা পাট বা কাপড়ের ব্যাগ (থলে) এবং অনেকেই বাঁশের ঝুড়ি নিয়ে হাটবাজার করতে যেতাম। কিন্তু বাংলাদেশে আশির দশকের পর হতে ধীরে ধীরে এসব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্র দৃশ্যপট হতে প্রস্থান করা শুরু করে। বিশ্বায়নের এ যুগে আমাদের ঘরের চারপাশে একটু লক্ষ করলে দেখা যায়-খাদ্য পরিবহন, সংরক্ষণ থেকে শুরু করে খাদ্য পরিবেশনের পুরোটাই জুড়ে পলিথিন ব্যাগসহ প্লাস্টিকজাত পণ্যের আধিপত্য। এর মধ্যে এসেছে মহামারি করোনাভাইরাস, ধ্বংস করতে চাচ্ছে মানব সভ্যতা এবং রেখে যাচ্ছে ক্ষতের চিহ্ন।

কভিড মহামারির কারণে সমগ্র দেশে একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি জিনিসের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মানুষ করোনাভাইরাস হতে মুক্ত থাকতে একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিকজাত প্লেট, গ্লাস, কাপ, চামচ, স্ট্র ইত্যাদির ব্যবহার সঙ্গে সঙ্গে পাতলা পলিথিনের হাত মোজা, সার্জিক্যাল-মাস্ক ও পরিধেয় পোশাক ইত্যাদির ব্যবহার করছে, ফলে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে, যা আমাদের পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে মারাত্মক ক্ষতিকর। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে মে মাস এই এক মাসে ১৪ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। যার প্রত্যক্ষভাবে করোনার সঙ্গে জড়িত প্লাস্টিকজাত পণ্যের বর্জ্য। একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার আমরা বন্ধ করতে না পারি তাহলে আমাদের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা কি বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঢুকিয়ে দেয়ার মতো অবস্থা; নাকি এটা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ সৃষ্টি করছে?

যদিও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে প্লাস্টিক ও পলিথিন শপিং ব্যাগ (থলের) ব্যবহার, উৎপাদন ও পরিবহন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে ১৭টি পণ্যের সংরক্ষণ ও পরিবহন পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারপরও এই করোনা মহামারির সময়ে সুরক্ষার নামে একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিকজাত পণ্য ও পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো দেখা বা মনিটরিংয়ের যেন কেউ নেই। বিগত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় প্রার্থী প্রচারণার নামে পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল। নির্বাচনে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আমাদের নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও চরম গাফিলতি দেখা যায়।

এছাড়া ২০১৯ সালে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ঢাকা শহরে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহƒত হয়। এসব প্লাস্টিক ব্যবহারের পর যেখানে সেখানে ফেলা হয়, যা মিঠা পানি ও সামুদ্রিক জীবের জীবন বিপন্ন হয়। বাংলাদেশে বছরে প্রায় আট লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। যার মধ্যে দুই লাখ টন বর্জ্য নদীনালার মাধ্যমে পতিত হচ্ছে, সমুদ্রের অনেক পশু পাখি সামুদ্রিক প্রাণী এসব প্লাস্টিকজাত দ্রব্য খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। বঙ্গোপসারে ৩০০ ধরনের প্লাস্টিকজাত পণ্য, দিনে ৭৩  হাজার টন পতিত হচ্ছে। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য সমুদ্রে ফেলার কারণে সমুদ্রের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তাতে করে সামদ্রিক জলজ প্রাণী এখন হুমকির সম্মুখীন।

দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁঁকি তৈরি করছে প্লাস্টিক বর্জ্য। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২০২১ সালের বর্জ্যবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরের বিভিন্ন খাল হয়ে প্রতিদিন অন্তত ৭৮৫ টন বর্জ্য মিশছে কর্ণফুলীতে। এর মধ্যে বেশি থাকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিন। আবর্জনার কারণে পানিদূষণের পাশাপাশি নদীর গভীরতাও কমে আসছে বলে বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের অন্য আরেকটি গবেষণা প্রবন্ধে তথ্য উঠে এসেছে, প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮৭ লাখ মানুষ ৩০০ টন বর্জ্য সৃষ্টি করে, যার মধ্যে ২৪৯ টন প্লাস্টিক বর্জ্য। যার ৫৬ শতাংশ (১৪০ টন) রিসাইক্লিংয়ের জন্য সংগ্রহ না করায় নগরীর খাল-নালা পরিবেশ প্রতিবেশের সঙ্গে মিশে মানুষের বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে পরিবেশ।

বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের প্রতিবেদন তথ্য মতে, গত ১৫ বছরে দেশের নগরগুলোতে এর ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে। শহরাঞ্চলে পরিবেশ অবক্ষয়ে বছরে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৬৫০ কোটি ডলার বা প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। পরিবেশ দূষণে বড় অনুষঙ্গ এখন প্লাস্টিকের অতিমাত্রার ব্যবহার। রাজধানীতে বছরে মাথাপিছু প্রায় ২৩ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহƒত হয়। এই প্লাস্টিকের প্রায় অর্ধেক মাটি ও পানিতে রয়ে যায় এবং মারাত্মক দূষণ তৈরি করছে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের বর্জ্যরে কারণে রাস্তায় পাশে জমা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা, নদ-নদী, খাল-বিল ও নালায় গিয়ে বাড়চ্ছে জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি বাড়ছে পানিদূষণ, দুর্গন্ধযুক্ত আবহাওয়া, যা জনস্বাস্থ্যকে ফেলে হুমকিতে। প্লাস্টিক পলিথিন বর্জ্য নদী ও সাগরের তলদেশে জমে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। এই পলিথিন প্লাস্টিক বৃহৎ জলজ প্রাণী তিমিরও মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগরে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ছিল ৩ কেজি, ২০২০ সালে হয়েছে ৯ কেজি। ঢাকা শহরে ব্যক্তির মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯ কেজি থেকে বেড়ে প্রায় ২৩ কেজি হয়েছে। দেশে সারা বছর যে পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়, তার ১০ শতাংশ প্লাস্টিক পণ্য থেকে আসে। এর ৪৮ শতাংশ মাটিতে পড়ে, আর ৩৭ শতাংশ পুনরায় ব্যবহƒত হয়। ১২ শতাংশ পড়ে খাল ও নদীতে। আর ৩ শতাংশ নালাতে গিয়ে মিশে। মাটিতে পড়া প্লাস্টিকের বড় অংশ পলিথিন ব্যাগ, পণ্যের মোড়ক ও প্যাকেট হিসেবে ব্যবহƒত হওয়া।

রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যেকোনো প্রচলিত আইন যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে ওই আইনের কার্যকারিতা থাকে না এবং আইনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। একইভাবে বিকল্প চটের ও কাপড়ের ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও ‘বাজারে এখনও পলিথিন ব্যাগের দৌরাত্ম্য বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

আর্থ ডে নেটওয়ার্কের তথ্য মতে, বাংলাদেশ ১০ প্লাস্টিক ব্যবহারকারী দেশ। ১ কেজি প্লাস্টিক ও পলিথিন উৎপাদন করতে বায়ুমণ্ডলে মিশে ২-৩ কেজি কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস। যদিও উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এই কার্বন গ্যাস নিঃসরণের ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর স্ট্রাটোস্ফিয়ার, আইনোস্ফিয়ার, যা সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট-রে (অতি বেগুনি রশ্মি) কে পৃথিবীতে সরাসরি আসতে বাধা দিতো তা মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ওজোন স্তরের ক্ষতি ও বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর ওপর বিশাল প্রভাব পড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়, অ্যান্টার্কটিকার বরফ আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে গলছে। ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত বরফ গলা, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ক্ষতিসহ আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূমি সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। 

ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, ঞওঞ ঋঙজ ঞঅঞ অর্থাৎ ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। অনেক আগে থেকেই আমরা পরিবেশকে ইট মেরে এসেছি। নিজেদের ইচ্ছামতো ধ্বংস করেছি পরিবেশের উপাদান। প্লাস্টিক দূষণ হলে যা পরে পরিবেশে বিশেষ করে বন্যপ্রাণ, বন্যপ্রাণ আবাসস্থল, এমনকি মানবজাতির ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। এমনিতে বর্ষাকাল আসলে ঢাকা শহরের রাস্তা ও সড়কগুলো জলবদ্ধতার কারণে পানির নিচে চলে যায়। কারণ এসব প্লাস্টিকজাত পণ্য ও পলিথিন ব্যাগ ব্যহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেয়ার ফলে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যগুলো নগরের নালা-নর্দমা ও সুয়ারেজ লাইনে আটকা পড়ে। ফলে যথাসময়ে বৃষ্টির পানি ও সুয়ারেজ লাইনের পানি অপসারণ হতে না পেরে রাস্তা ও সড়কে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ বছর বৈশাখ মাসেই অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে বর্ষা শুরু হওয়ার কারণে আগের বছরগুলো থেকেও ওই জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।

‘রাষ্ট্র শুধু আইন করে একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হবে না’ ওই আইনের যথার্থ প্রয়োগ করার পাশাপাশি এ আইন জনগণকে জানাতেও হবে। সরকার ইচ্ছা করলে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ঠিক তেমনি একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিকজাত পণ্য ও পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে প্রত্যেক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন। এছাড়া প্রত্যেক বাজার কমিটির সঙ্গে কাজ করে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ যাতে বাজারে বন্ধ করে। নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধন করে নির্বাচনে পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারেন। 

যদিও পৃথিবীর সর্বত্র প্লাস্টিকজাত দ্রব্য জড়িয়ে আছে। আমাদের দেশেও একই অবস্থা। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু অসম্ভব নয়। তাই আমাদের প্রথমে একবার ব্যবহƒত প্লাস্টিকজাত পণ্য ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা করতে পারি, তাহলে এর ব্যবহার অনেক অংশে কমে আসবে। এই মুহূর্তে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে না পারলে, বিস্তীর্ণ এলাকার ভূমি, নদী-নালা, সভ্যতা, সংস্কৃতি সবাই হারিয়ে যাবে সমুদ্রের অতল গভীরে। এসব মহাবিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কেবল সামাজিকভাবে সচেতন হলে এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর-সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারব।      

আইনজীবী

masumbillahlaw06@gmail.com