প্লেনের ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্লেনের ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী দেশে এসে দেখছেন প্লেনের ভাড়া বেড়ে গেছে। এতে করে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তাই প্লেনের ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। একইসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস ঘোষণা করতে চাই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিলে এটা ত্বরান্বিত করা সহজ হবে। প্রবাসীরা নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হয়। এজন্য আমরা এই দিবসটা পালন করার উদ্যোগ নিয়েছি। 

মন্ত্রী বলেন, আগামীতে ই-ভিসা চালু করা হবে এ প্রজেক্ট হাতে আছে। প্রবাসীরা বিদেশে বসে পাসপোর্ট পেলে এনআইডি কেন পাবে না। তারা যাতে বিদেশে বসে এনআইডিটা পায় সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, লিবিয়ায় পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, আমাদের হাইকোর্টে একটি নিষেধাজ্ঞা আছে, সেটা ওঠানোর জন্য কাজ করছি। এটা উঠে গেলে লিবিয়ায় অনেক লোক পাঠানো যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটি মানুষ অভিবাসী মোট জনসংখ্যা ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ নিজ দেশ থেকে বাইরে গিয়ে কাজ করে উন্নত জীবনের আশায়। আমাদের দেশে ১ কোটি ২০ লাখ অভিবাসী কর্মরত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আজ বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২০-২১ অর্থবছরে বছরে অভিবাসীরা ২৪ বিলিয়নের বেশি ডলার দেশে পাঠিয়েছে। তাই অভিবাসীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে কাজ করছেন। আরও বেশি করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।’

ইমরান আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু উদ্যোগ নিয়েছিল কীভাবে জনশক্তি কাজে লাগানো যায়, ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশে কর্মরত আছেন, এতে করে দারিদ্র্য কমেছে। জনশক্তি পাঠানোয় সীমাবদ্ধতা আছে, কভিডের কারণে অনেকে ফেরত এসেছিলেন। তারাও চলে গেছেন, এ বছরও ৯ থেকে সাড়ে ৯ লাখ মানুষ পাঠানো যাবে। তবে এখানেও শেষ নয়, আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি টার্গেটও ফিলাপ হবে এবং রেমিট্যান্সের যে ধীরগতি আছে সেটাও কেটে যাব। গত মাসে এক লাখের বেশি লোক গেছে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৫ হাজার গেছেন; এটাও ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০