নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর কুর্মিটোলায় রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে রোববার (১০ মার্চ,২০২৪) প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) শীর্ষক প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহ-অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) পাঁচ বছর যাবত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের ডিজি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্গেরিটা ক্যাপালবি, ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ডা. মো. শহীদ উজ জামান এবং কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম জাহান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পলিসি, অ্যাডভোক্যাসি, ইনফ্লুয়েন্সিনং অ্যান্ড ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সেন্ট্রাল অ্যান্ড নর্দান রিজিওনের প্রধান আশিক বিল্লাহ চলতি বছরে শেষ হতে যাওয়া প্রকল্পটির উল্লেখযোগ্য অবদান, ফলাফল, চ্যালেঞ্জ সর্ম্পকে অংশীজনদের অবগত করার পাশাপাশি মত বিনিময় ও আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। কবিতা বোস তার বক্তব্যে বলেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানো প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের বিষয়টি জেন্ডার সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেছে।
একটি মেয়ে শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজে যেসব বৈষম্যের শিকার হয় তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুরু থেকেই জেন্ডার বৈষম্য রোধ করার মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর সক্রিয় সহযোগীতা কামনা করেন।
অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম বলেন, ‘সৃজনশীল উপায়ে জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জানো প্রকল্পে যেমন শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বেসরকারী সংস্থা একত্রিত হয়ে সম্বন্বিত ভাবে কাজ করেছে এইভাবে এগিয়ে গেলে সমাজে সার্বিক একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
