পড়ালেখার পাশাপাশি চলে স্বেচ্ছাসেবা

বেনজির আবরার: স্বেচ্ছায় সেবা দিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন অনেক তরুণ-তরুণী। বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ হার অনেক। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সমাজের জন্য কাজ করছেন তারা। এমনই একটি স্বেচ্ছাসেবী দল ‘স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলান্টিয়ারস ক্লাব’।

সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে যাত্রা শুরু করেছে এ ক্লাব। এটি সংক্ষপে ‘এসইউভিএস’ নামে পরিচিত।

২০১২ সালের ৫ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় এসইউভিএস। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা ব্যতিক্রমী আয়োজন করে আসছে তারা। বর্তমানে তাদের প্রায় দুইশ সদস্য রয়েছে। ক্লাব সভাপতি ফয়সাল আমিন বলেন, ক্লাব সদস্যদের অক্লান্ত কর্মস্পৃহায় আমরা এগিয়ে চলেছি। আর্তমানবতার সেবায় তারা নিজেদের উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। তারা পথশিশুদের পাশে থাকতে চান। আর ক্ষুধার্তদের ক্ষুধা নিবারণে তারা সহযোগী হতে চান। এছাড়া তাদের বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা রয়েছে।

ক্লাব সদস্যরা প্রায় সারা বছরই কোনো না কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।যেমন গত মাসে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তারা গোলাপ ফুল বিক্রি থেকে কিছু টাকা উপার্জন করেন। সে অর্থ দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধের পাশে একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়।

আগামী মে মাসের শুরুতে মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। এ উপলক্ষে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন সদস্যরা। রয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজন এডুকেশন ফর অল ও স্যুপ কিচেন। ‘এডুকেশন ফর অল’-এর আওতায় পথশিশুকে পাঠদান, স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া ও তাদের জন্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়। ‘স্যুপ কিচেন’ অংশে ঢাকার রমনা পার্কসহ নানা স্থানে পথশিশুদের স্যুপ খাওয়ানো হয়। শীত মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বস্ত্র বিতরণ করে ক্লাবটি।

ক্লাবের সহ-সভাপতি জায়েদ মাহমুদ শুভ ও সদস্য তাসনুভা প্রমা জানান, আমরা মানবতার জন্য স্বেচ্ছায় সারা জীবন কাজ করে যাবো।