ওবাইদুল আকবর রুবেল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম): অল্প বিনিয়োগে অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষকরা দিন দিন আখ চাষে ঝুঁকছেন। এর সঙ্গে সবজি জাতীয় অন্যান্য ফসল বোনার সুযোগ থাকায় জনপ্রিয় হচ্ছে আখ চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছর উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। এ হিসাবের বাইরে চাষ হয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কেউ পাইকারি বাজারে কেউ বা নিজেই খুচরা বিক্রি করেন। এবার বন্যার পানি না আসায় বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
আখের ফলন ভালো হওয়ায় নতুন অনেক কৃষক আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ছে আখ চাষিদের সংখ্যা।
কুম্ভারপাড়ার এলাকার আখচাষি মো. আব্দুল খালেক (৪৬) জানান, ধান ও অন্যান্য ফসল আবাদে আখের তুলনায় খরচ বেশি হওয়ায় তাদের আগ্রহ বেড়েছে। একই এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, আগে আমরা এ মৌসুমে ধান চাষ করতাম। তাতে খরচ উঠলেও লাভের মুখ দেখতাম না। আর আখ চাষে কম খরচে বেশি লাভ। তাই আখে সন্তুষ্ট আমরা।
এখানে বর্তমানে ১০০ জনের বেশি আখচাষি রয়েছেন, পাঁচ বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল ২০ থেকে ৩০ জন।
প্রতিটি আখের বর্তমান দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা। বড় আকারের প্রতিটি আখের মূল্য ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা পরিপক্ব আখ তুলে খেতের পাশে জড়ো করছেন। ব্যবসায়ীরা খেত থেকেই আকার অনুযায়ী কিনে নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওমর ফারুক তুহিন বলেন, ‘উপজেলায় গত কয়েক বছরে কৃষকরা আখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আখ চাষ ক্রমে বাড়ছে। আমরা মাঠপর্যায়ে সার্বিক তদারকি করছি, কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি। দক্ষতা, পরিচর্যা, সঠিকভাবে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে আখের ফলন ভালো হয়।’