Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:06 pm

ফটিকছড়িতে সরকারি জায়গা দখল করে লেক খনন

প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : সরকারি ভূমি দখল করে বেআইনি ও অবৈধভাবে লেক খনন করায় ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা ভ্যালি চা-বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাতে নারায়ণহাট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদী হয়ে ভূজপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূজপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, হালদা ভ্যালি চা-বাগানের ভেতর বেআইনি ও অবৈধভাবে মাটি খনন করে সরকারি জমির ক্ষতিসাধন করায় চা-বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখব।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে চা-বাগানের ভেতরে অবৈধভাবে লেক খনন করায় হালদা ভ্যালি চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিন হোসেনকে (৩০) এক বছর ও এক্সক্যাভেটর চালক গৌতম দাশকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি হালদা ভ্যালি চা-বাগান এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর গেট নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সেটিও উš§ুক্ত করে সার্বক্ষণিক গেট খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রাহমান সানি।

ইউএনও সাব্বির রহমান সানি সাংবাদিকদের বলেন, আনন্দপুর (হালদা ভ্যালি) চা-বাগানের অভ্যন্তরে বাদুড়খিল নামক স্থানে টিলার পাদদেশে অবৈধভাবে একটি লেক খনন করায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ (চ) লংঘন করার অপরাধে একই আইনের ধারা-১৫ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। চা-বাগানের ভেতরে অবৈধভাবে লেক খনন করায় হালদা ভ্যালি চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিন হোসেনকে (৩০) এক বছর ও এক্সক্যাভেটর চালক গৌতম দাশকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে রামগড়-সীতাকুণ্ড সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে দখলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হালদা ভ্যালির তৎকালীন ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী ব্যবস্থাপক রাজিব আহম্মদ জেল খাটেন। বন বিভাগের জমি জবরদখল ও মাটি কাটার জন্য নারায়ণহাট রেঞ্জের বন কর্মকর্তা অন্তত ২১ মামলা করেছিল এই চা-বাগানের বিরুদ্ধে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে বনে অনুপ্রবেশে ২০১৭ সালে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই বনের পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে হালদা ভ্যালি টি এস্টেট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।