প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৯ কেন্দ্রের ১০৩ টি কক্ষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ১২ জন নির্বাহী ও ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশের সমন্বয়ে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
সরেজমিনে কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে সকাল ৮টা থেকে ভোটারদের সারি সারি লাইন লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ফটিকছড়ি পৌরসভায় প্রথমবার ইভিএমে ভোট হওয়ায় কিছু কিছু ভোটারদের আঙ্গুলের চাপ না মেলায় ভোট প্রদানে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে এ ধরণের বিড়ম্বনায় পড়ার অভিযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোট নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ধুরুং আতরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। এ কেন্দ্রে ইভিএমে চারটি ইভিএম মেশিনের মধ্যে একটি মেশিন কয়েকবার যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ভোটার ও ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মো: রফিকুল ইসলাম নামে এক ভোটার বলেন, ‘সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে এখনো ভোট দিতে পারিনি। আমি কাজের মানুষ ভোট দিয়ে কাজে যাবো। কিন্তু গরমে লাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। তবে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দাবি সামান্য সমস্যা ছিল ঠিক হয়ে গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ১১টা) কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ফটিকছড়ি জামেউল উলুম ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম জানান, ‘সকাল থেকে শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহন চলছে তবে বাহিরে কোন আইনশৃঙ্খলা সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। এছাড়া এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হবে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯ টি ভোট কেন্দ্রের ১৪ টি অস্থায়ীসহ ১০৩ টি বুথে ৩৬ হাজার ২ শত ৪৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিশেষ করে ইভিএমে ভোট গ্রহণ এবং কেন্দ্র গুলোতে সিটিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করায় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম মিনহাজুল ইসলাম জসিম (মোবাইল ফোন) ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ কামাল পাশা (নারিকেল গাছ)।