প্রতিনিধি, ফরিদপুর: আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মাঠ পর্যায়ে গণশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ফরিদপুরে গণশুমারি ও গৃহগণনা অংশ নেয়া ব্যক্তিবর্গের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কর্মশালা উদ্বোধন করে ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে নির্ভুল পরিসংখ্যানের কোনো বিকল্প নেই। দেশের জনসংখ্যা কত, বার্ষিক খাদ্য উৎপাদন কত, কত লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে তা নির্ধারণ করতে সঠিক নির্ভুল পরিসংখ্যান প্রয়োজন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর ফরিদপুর জেলা উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার এবং আইটি সুপারভাইজারদের চার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মিনাক্ষী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা।
বক্তারা বলেন, জন ও গৃহশুমারি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কাজে যারা নিয়োজিত আছেন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গণনায় যাতে কোনো ভুল না হয় সেদিন সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফরিদপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এতে শুমারি সংশ্লিষ্ট ১১৩ জন ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৯ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ৫২ জন জোনাল কর্মকর্তা ও ৫২ জন আইটি সুপারভাইজার।
জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মিনাক্ষী বিশ্বাস বলেন, দেশে প্রথম আদম শুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে শুমারি হয়। এরপর এবার ষষ্ঠবারের মতো জনশুমারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ শুমারির কাজ পরিচালিত হচ্ছে।