ফরিদপুরে ১০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা

প্রতিনিধি, ফরিদপুর : ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ফরিদপুরে ১০০ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑসাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, খন্দকার মোশাররফের আস্থাভাজন দুই সহোদর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার রাতে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার মামলা

নম্বর ২৮।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সিদ্দিকুর রহমানের সাবেক মন্ত্রীর ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজে ৩ থেকে ৫ পার্সেন্ট কমিশন নিতেন। খন্দকার বাবরের পরে তিনি এপিএস ফোয়াদ, বরকত ও রুবেলের হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী ব্যবহার করে কমিশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।

ক্ষমতার দাপটে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স, ফরিদপুর রেল স্টেশনের পাশে বালু ও পাথরের ব্যবসা এবং সিএন্ডবি ঘাট ও টেপাখোলা হাট নিয়ন্ত্রণ করে ১০০ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উপার্জন করেন। সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া এ মামলার অন্য সব আসামি অন্য মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।

এর আগে সিআইডি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলা এবং পরে এপিএস ফোয়াদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের আরও একটি মামলা করেছে। এরম মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার মামলায় ১ম দফায় ১০ জনের নামে এবং দ্বিতীয় দফায় আগের আসামিরাসহ মোট ৪৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০