নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের জন্য এক সেট পর্দা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার অনিয়ম খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি ফমেক ও ফমেক হাসপাতালের ১৬৬টি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং পণ্যাদি কেনাকাটায় প্রায় ৪১ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম ফমেকের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান করছে। দুদক টিম ২ ও ৩ অক্টোবর ঘটনাস্থলে যাবে বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
দরপত্রের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ফমেক ও ফমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং পণ্যদ্রব্য সরবরাহ করে। দুদক জানায়, এরই মধ্যে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করার পাশাপাশি ফমেক কর্তৃপক্ষকে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে দুদক।
ফমেক কর্তৃপক্ষকে পাঠানো দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুদক অনুসন্ধান টিম ২ ও ৩ অক্টোবর ফমেক ও ফমেক হাসপাতাল পরিদর্শন করবে। এ সময় সরবরাহকারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।’
উল্লেখ্য, ফমেকের কেনাকাটা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করতে সম্প্রতি দুদককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে।
দুদক জানায়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফমেক হাসপাতাল ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬৫ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পণ্যদ্রব্য কেনাকাটা করে। এতে বিল দেখানো হয় ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ২০২ টাকা। এ কেনাকাটায় অনিক ট্রেডার্স বাড়তি বিল দেখিয়েছে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৩ টাকা। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিল আটকে দিলে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অনিক ট্রেডার্স বিল পেতে রিট করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত ২০ আগস্ট ফমেক ও ফমেক হাসপাতালের কেনাকাটা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফরিদপুর মেডিক্যালের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
