নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট নিরসনে একটি উচ্চতর কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি কাউন্সিল (এফএসসি) নামের ওই গ্রুপ যে কোনো আর্থিক সংকটে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
গতকাল অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চতর সভায় এ কাউন্সিল গঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ-সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), এমআরএ, বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট সব নীতিনির্ধারক সংস্থার সমন্বয় থাকবে কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত।
প্রাথমিকভাবে এফএসসির সাংগঠনিক কাঠামোও প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজল্যুশন ব্যবস্থা এবং ম্যাক্রো ফাইন্যান্সিয়াল মনিটরিং নামে দুটি ওয়ার্কি গ্রুপ রাখার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ননের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল (সিসি) রাখার কথা বলা হয়।
অর্থমন্ত্রীকে এফএসসির প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান প্রস্তাবিত কাউন্সিলের সদস্য থাকবেন বলে ফ্রেমওয়ার্কে বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের দায়িত্বরত ডেপুটি গভর্নরকে এ কাউন্সিলের সদস্যসচিব প্রস্তাব করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকেই এর কার্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়। এদিকে প্রস্তাবিত এফএসসির ফ্রেমওয়ার্ক ও দুটি ওয়ার্কিং গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্সের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় মন্ত্রণালয়ের সভায়। পরে এর অংশীদার বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিমত ও বিশেষজ্ঞদের রিভিউ শেষে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়। এজন্য এরই মধ্যে একটি টেকনিক্যাল গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে।