নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পেকট্রাম কিনতে নিলামে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করেছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। গত সোমবার অপারেটরগুলো বিটিআরসিতে তাদের এ আবেদন জমা দেয়। ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অকশন, ২০২২’ নামে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩১ মার্চ। মূলত ফাইভজি চালুর জন্য এ স্পেকট্রাম নিলাম। তবে এ নিলামের স্পেকট্রাম অপারেটরগুলো ফোরজি নেটওয়ার্ককে আরও সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণে ব্যবহারের পরিকল্পনায়ও গুরুত্ব দিচ্ছে।
এর আগে নিলামের কিছু নির্দেশনা নিয়ে আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে অপারেটরগুলো নিলামে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রকাশ করেছিল। পরে ১০ মার্চ বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনায় নিলামের নির্দেশনার কিছু শর্তে ছাড়ের আশ্বাসে অপারেটরগুলো নিলামে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সোমবার ছিল এ আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন।
এর আগে ৩ মার্চ নিলামের তারিখসহ বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করে বিটিআরসি। এর পরই অপারেটরগুলো নিলামের সময়, স্পেকট্রামের দাম, রোলআউট অবলিগেশনসহ কিছু বিষয়ে আপত্তি তোলে। এসব বিষয়ে তারা বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনার দাবি তোলে এবং এরপর সিদ্ধান্তে আসার কথা বলে।
এবারের নিলামে প্রতি মেগাহাটর্জ স্পেকট্রামের ফ্লোর প্রাইস বা বেজ প্রাইস থাকছে ছয় মিলিয়ন ডলার, টাকার হিসাবে যা ৫১ কোটি ৯০ লাখের একটু বেশি। এতে স্পেকট্রাম ক্রয়কারীদের জন্য ফাইভজি সেবা চালুর জন্য ছয় মাসের রোলআউট অবলিগেশন দেয়া হয়। নিলামের দিন থেকে এই সময় ধরা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এবারে মোট ১৮ ব্লকে স্পেকট্রাম নিলাম হচ্ছে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ বা ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে ছয়টি ব্লক এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজে বা ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজে ১২টি ব্লক রয়েছে। ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম নিলাম হবে। ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজেও প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম উঠবে। ‘বিড আর্নেস্ট মানি’ রাখা হয়েছে ১০ কোটি টাকা, যা অপারেটরগুলোকে জমা দিতে হবে ২৩ মার্চের মধ্যে। এছাড়া স্পেকট্রাম ক্রয়মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ নিলামের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে ক্রেতাকে। আর অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ অর্থ ৯ বছরে সমান কিস্তিতে দেয়া যাবে। নিলাম নিয়ে ভাবনা নেই সরকারি অপারেটর টেলিটকের। তারা ৩৫০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৬০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম পেয়েছে।