নিজস্ব প্রতিবেদক: ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন সহকারী পরিচালক বায়েজিদুর রহমান খান। ২২ কোটি ৫৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অন্য মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক শারিকা ইসলাম। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ গত মঙ্গলবার মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রথম মামলার আসামিরা হলেনÑসাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক কে. এম. খালেদ, সাবেক পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান
শাহরিয়ার খালেদ, সাবেক পরিচালক ও পিএফআই প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক এম এ খালেক, সাবেক পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সাবেক পরিচালক ফরিদ উদ্দিন, সাবেক পরিচালক আসাদ খান; সাবেক কোম্পানি সেক্রেটারি সৈয়দ আব্দুল আজিজ ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত উল্যাহ।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪০৯/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
প্রথম মামলাটির এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, মামলার ৯ আসামি পারস্পরিক যোগসাজশে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীর ভুয়া সার-সংক্ষেপ তৈরি করেছেন। কোম্পানির ২২টি স্থায়ী আমানত (এমটিডিআর) লিয়েন (বন্ধক) রেখে তাদের মালিকানাধীন অন্য প্রতিষ্ঠান ‘পিএফআই প্রোপার্টিজ লিমিটেড’কে ঋণ সুবিধা দিয়েছেন। পরে ওই ঋণ পরিশোধ না করে মুনাফাসহ মোট ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেনÑফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক ও প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক কে. এম. খালেদ, সাবেক পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খালেদ এবং সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত উল্যাহ।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪০৯/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, মামলার ৪ আসামি পারস্পরিক যোগসাজশের মাধ্যমে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীর ভুয়া সার-সংক্ষেপ তৈরি করেছেন। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির স্থায়ী আমানত (এমটিডিআর) লিয়েন (বন্ধক) রেখে ১৬ কোটি টাকা তাদের মালিকানাধীন অন্য প্রতিষ্ঠান ‘প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশন’কে ঋণ দিয়েছেন। পরে ওই ঋণ পরিশোধ না করে মুনাফাসহ মোট ২২ কোটি ৫৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের আংশিক অনুসন্ধান করে এসব টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে দুদক কমিশন মামলা দুটি দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।