নিজস্ব প্রতিবেদক : বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ৫৭ হাজার ৯২৫ শেয়ার মোট ২১২ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর সাত টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৯ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪৮ পয়সা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৪৫ পয়সা। ২০১৯ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৬ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২১৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৭ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার।