নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৬৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সচিব মো. মাহাবুব হোসেন জানান, গতকাল দুদকের কমিশন সভায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদক সচিব বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, বন্ধকি সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে, নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, যার স্থিতি ৬৯ কোটি ৫৮ লাখ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ ও আত্মসাতের সহযোগিতা করেন। পরবর্তীকালে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি গোপন করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং ও লেয়ারিং কাজে সহযোগিতা করেন।
মাহবুবুল হক চিশতি ছাড়াও চার্জশিটভুক্ত অন্য পাঁচ আসামি হলেনÑমেসার্স রোজবার্গ অটো রাইস মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হযরত আলী, রোজবার্গের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের শেরপুর শাখার প্রধান ও সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার উত্তম বড়ুয়া, ফারমার্স ব্যাংক প্রধান শাখার সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএমএম শামীম ও সিটি সার্ভে লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. খায়রুল আলম।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, বন্ধকি সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে, নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহযোগিতা করেন। পরবর্তী সময়ে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি গোপন করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং ও লেয়ারিং কাজে সহযোগিতা করেন।
দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ ধারার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। মামলায় দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আহসান চৌধুরীকে আসামি করা হলেও চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাশেদুল হক চিশতীকে তৎকালীন তদারককারী কর্মকর্তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।