নিজস্ব প্রতিবেদক :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। অনুমোদিত বোনাস শেয়ারের জন্য আগামী ২১ মে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ জুন সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।
এর আগের হিসাববছরে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২০ টাকা ৪২ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছে ১৬ পয়সা। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৯ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৯৪ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৪ টাকা ৮১ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৩ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৬ কোটি এক লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০৪ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার ১২১ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ০২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগাকারীদের কাছে এক দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬২ হাজার ৬৫১টি শেয়ার মোট ৫৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।