নিজস্ব প্রতিনিধি:
সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কতটুকু এবং তারা কী ভূমিকা পালন করছে তা আগামী রবিবারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
পরে আইনজীবী রাফিউল ইসলাম বলেন, আদালত বলেছেন- ফিটনেস নবায়ন না করা কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ি ফিটনেসবিহীন ছিলো। ওইদিন আদালত আদেশ দিয়েছেন- ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে। এ আদেশ অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে ও ফিটনেসবিহীন গাড়িকে জালানি দিচ্ছে না। এসবের সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দেখিয়েছি।
প্রতিবেদনে গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে সারাদেশে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ি তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।